আবু হেনা ইকবাল আহমেদ
টুঙ্গিপাড়া গ্রাম
সাবেক ফরিদপুর, বর্তমানে গোপালগঞ্জ নাম
ব্রিটিশ শাসন কাল
১৭ মার্চ, ১৯২০ সাল
এই দিনে জন্ম নিলো এক খোকা
যেন একরাশ রজনীগন্ধার থোকা।
মাতা সায়েরা খাতুন, বাবা শেখ লুৎফর রহমান
চার মেয়ে দুই পুত্রের মাঝে শেখ মুজিবুর তৃতীয় সন্তান ॥
যতো শিশু দেশময় যে যেখানে মেতে রয় আঠারোর নিচে বয়স
শিশু দিবসের দিনে তারে নিতে হবে চিনে কেন মার্চে এ দিবস।
জেল জুলুম মাড়িয়ে বজ্রকণ্ঠে হাঁক দিয়ে জনতাকে বলে যান
‘এবারের সংগ্রাম- স্বাধীনতার সংগ্রাম’- শেখ মুজিবুর রহমান ॥
ব্রিটিশের থেকে ধর্মের নামে হলো যে পাকিস্তান
সেদেশ বাংলারে বানালো আরেক নারকীয় গোরস্থান
জনতার অধিকার ছিনিয়ে আনার খেটে জেল ও জুলুম
শিকের আড়াল অহোরাত্র বেল তার কেটেছে নির্ঘুম।
হাজার বছর পরে এ বাংলায় শুনি আজ পেতে কান
ছিল এতদিন যার প্রতীক্ষায় সে তো শেখ মুজিবুর রহমান ॥
তোমারই জন্য সব, ওই ওঠে কলরব প্রিয় জাতির পিতা
আমাদের এ উৎসব আনন্দ আর বৈভব তোমার জন্য তা ॥
স্মরণসভায় মেলা আজকের এই দিনের
তোমারি শ্রমের আর তোমারি রক্ত ঋণের
অভাব ঘুচালে দুঃখ যে মুছালে নাশ করে সকল দৈন্যতা॥
বাংলার মাঠের সোনালি ফসল ফুকারে ওই বারতা
উন্নয়নের সোপনে ওড়ে আজ বিজয়ের সফলতা।
বাঙ্গালিরে তুমি দেখালে জগতে নবরূপে পথচলা
তোমার কণ্ঠের জাতিসংঘে প্রথম বাংলায় কথা বলা
তোমারই আশা মাতৃভাষা একুশে পেল তার পূর্ণতা॥
ত্রিশ লাখ মানুষের প্রাণ ক্ষয়ে
মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে
আনলো বিজয়কে যে মহানায়ক তার নাম
শেখ মুজিবুর রহমান
বাংলাদেশ অভ্যুদয়ে যার অবদান
এসো গাই তার জয়গান ॥
জাতির পিতা ও বঙ্গবন্ধু আমাদের প্রিয় নাম-
শেখ মুজিবুর রহমান
তোমারই শততম জন্মদিনে নাও
সোনালি সালাম॥
শিশু থেকে বুড়ো হয়ে যেতো জড়ো বজ্রকণ্ঠে যার
এ বাংলার স্থল নদী বিল জল যেই নামে একাকার।
বাংলাদেশজুড়ে লাল সবুজের পতাকা ওড়ার
অবদানে তার নাম
পিতৃদত্ত খোকা শেখ মুজিবুর রহমান সবে
বঙ্গবন্ধু বলে ডাকলাম॥
আমাদেরে দিলে সাহসবীর্য শোনায়ে অমর বজ্রকণ্ঠ
জনগণে দিলে সামনে চলার বিজয়ের মূলমন্ত্র
সাতই মার্চের স্মরণীয় ভাষণে
বিশ্বে বাড়ালে সম্মান॥
হাজার বছর পতিত ছিল পদ্মা মেঘনা যমুনার লোক
তাদেরে দেখালে আঁধার বিনাশী স্বাধীন সোনালি সূর্যালোক।
বিশ্বে আজিকে সোনার বাংলা স্বনির্ভরতার দেশ
পসরা আর খেলায় পতাকা ওড়ায় বিশ্বে অনিমেষ
আমাদেরে দিলে একটি স্বদেশ
বাংলাদেশ যার নাম॥
বর্গি ও ঠগেরা মিলে লুটে নিতো আশা
কেউ কেড়ে নিতে ছিল মুখ থেকে ভাষা
কৃষক মজুর ঠকে ঠকে হয়ে যেতো বোকা
সে অধিকার ফিরাতে জন্মে এক খোকা।
চোঙ্গা ফুঁকে এ বাংলার ধুলামাখা পথে
বুলাতেন হাত তিনি কৃষকের ক্ষতে
বৃষ্টি ভিজে রোদে পুড়ে গ্রাম গ্রামান্তরে
গেঁথে নেন নিজ নাম সবার অন্তরে।
দুঃখীদের প্রাণে তিনি ভরসা জাগিয়ে
অধিকার এনে দেন স্বাধীনতা দিয়ে
শিশুকালে যার নাম রাখাছিল খোকা
বড় হয়ে বুঝেছিল কারা দেয় ধোঁকা।
কৃষি এবং কৃষকের দরদি আবাল্য
বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিমূলে দেই পুষ্প মাল্য ॥
কৃষিবিদ ও পরিচালক (অব.), বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সী, কৃষি মন্ত্রণালয়। মোবাইল : ০১৬১৪৪৪৬১১১ ই-মেইল : ahiqbal.ahmed@yahoo.com